বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষাব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতার কারণে সরকারের ক্ষতি হচ্ছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এ অবস্থার উত্তরণ হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, দুর্নীতি আছে এটি স্বীকার করতে হবে। মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে।
এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির আয়োজনে ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি’ নিয়ে গতকাল এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক অনিমেষ কর, কাবেরী মৈত্রেয় ও সুশান্ত সিনহা। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা, প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি ও দুর্নীতি এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন টেকসই করার পথে বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারি কর্মকর্তাদের বেতনভাতা কয়েক গুণ বাড়লেও দুর্নীতির বিষয়টি অস্বীকার করা যায় না। এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। তিনি বলেন, দুর্নীতি হ্রাস করতে হলে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের একাধিক গাড়ি ব্যবহারের প্রবণতাকে তাদের ব্যক্তিগত ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। দুর্নীতির ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই তিরস্কার ও অপরাধ অনুযায়ী দণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। বাংলাদেশে এখনো ৪০ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর। ….read more